নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 321 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
নিউইয়র্কে বির্তকিত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন আবারও গ্রেফতার হলেন। রোববার ১৮ ফেব্রুয়ারি গত ১৫ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রেফতার হন। নিউইয়র্কে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি জ্যাকব মিল্টনের দায়েরকৃত মামলায় তিনি আসামী। ইলিয়াস হোসেন বাংলাদেশে একুশে টেলিভেশনে কাজ করতেন। প্রবাসে আসার পর সোশাল মিডিয়ায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারবিরোধী বক্তব্য তুলে ধরা শুরু করেন। ইউটিউবে প্রচারিত বিভিন্ন ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার নিয়ে বেপরোয়া বক্তব্য দিতে থাকেন।উল্লেখ্য সোশাল মিডিয়ায় ইলিয়াসের অনুসারী মিলিয়নের ওপর। বাংলাদেশে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও তাদের সর্মথকরা কয়েকবার তার ওপর হামলার চেষ্টা করে। তার বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রদান করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। ইলিয়াসকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিস্কারের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু বাস্তবে তা কাজে লাগে নি। তার আটকে আওয়ামী সর্মথকরা আনন্দ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন সোশাল মিডিয়ায়।
শেখ হাসিনার সরকার বিরোধী একটিভিস্ট হিসেবে জ্যাকব মিল্টনও কমিউনিটিতিতে পরিচিত। সোশাল মিডিয়ায় দেওয়া বক্তব্যগুলোতে তার প্রমাণ মেলে। তারই দায়েরকৃত মামলায় সরকার বিরোধী আরেক একটিভিস্ট ইলিয়াস গ্রেফতার হলেন। কমিউনিটির লোকজন বলছেন, ‘ আওয়ামী লীগ পারে নি। জ্যাকব তাকে জেলে ঢুকিয়ে ছাড়লেন।’ রোববার ইলিয়াসের গ্রেফতার টক অব দ্যা কমিউনিটিতে পরিনত হয়েছে।
পুলিশের ডিটেকটিভ ব্রায়ান গ্রানশো জানান, স্থানীয় সময় রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্টাটেন আইল্যান্ড এলাকা থেকে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এরপর তাকে জ্যামাইকার ১১৩ প্রিসিংক্ট হাজতে নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল তাকে জামিনের জন্য কোর্টে তোলা হবে বলে জানা গেছে।
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট জ্যাকব মিল্টন ও বিএনপি নেত্রী নিরু রাব্বানী নীরার করা মানহানি মামলায় আত্মসমর্পণ করতে গিয়ে এর আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। গ্রেপ্তারের ৬ ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। গত ১ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্ক সময় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে গেলে তাকে আটক করা হয়েছিল।
সম্প্রতি জ্যাকব মিল্টন ও নিরু নীরাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও বানান ইলিয়াস। ভিডিওটিকে মানহানিকর ও ভিত্তিহীন দাবি করে মিল্টন ও নিরু ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে সিভিল ও ক্রিমিনাল আইনে মামলা করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত।
Posted ৯:৫৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam